নির্বাচনি জোট হচ্ছে সরকারপন্থী ধর্মভিত্তিক দলগুলোর

একাদশ-জাতীয়-সংসদ-নির্বাচনসরকারপন্থী কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বৃহত্তর নির্বাচনি জোট করতে চায়। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বনানীতে জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের বাসায় রাত সাড়ে নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়ে  নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি দল ও জোট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাতে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সালের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে অংশ নেন ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ইসলামী অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছাবাহুর রহমান চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল এমপি, ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির কয়েকজন নেতা, নবাগত সংগঠন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারী, আশেকানে আওলিয়ার প্রধান আলম নূরী সুরেশ্বরী।

বৈঠকসূত্র জানায়, ইসলামি-মাজার-খানকা ও তরিকতপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি বড় নির্বাচনি জোট করতেই একটি জোট ও ৪ টি দলের বৈঠক হয়েছে। এই জোট ক্ষমতাসীন দলের পরামর্শে নির্বাচনি জোট বা পৃথকভাবে প্রার্থী দিতে পারে।

তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে অংশ নেওয়া এম এ আউয়াল এমপি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক বৈঠক করেছি। আমরা চাই, বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য গড়ে তুলতে। ইসলামের মূলধারার নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর জোট করতে চাই আমরা। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আরও পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

জোটগঠন-প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনদের পরামর্শেই নতুন এই জোট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাসক দলের পছন্দ, আগামী সংসদে অনেক দলের উপস্থিতি। সেক্ষেত্রে যে যে ধর্মভিত্তিক দল ও জোট ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যেতে চায়, তাদের সরাসরি না নিয়ে ভিন্ন ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোটের একজন নেতাকে, যিনি সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করছেন।