স্থানীয়রা জানান, বাসাইল-সখীপুর আসনটি বঙ্গবীরের আসন হিসেবেই খ্যাত। মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি হিসেবে খ্যাত কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম একবার আওয়ামী লীগের টিকিটে এবং অন্যবার নিজের প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
তার কর্মী-সমর্থকদের দাবি, ‘সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবীরকে ভালোবাসেন। এই আসনটি বঙ্গবীরের ভোট ব্যাংক। এবার তিনি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার কারণে বিএনপির সব ভোট তিনিই পাবেন। বঙ্গবীরকে এবার ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।’
এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়। তিনি তার পিতা শওকত মোমেন শাহজাহানের ইন্তেকালের পর উপনির্বাচনে দেশের কনিষ্ঠতম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে।
আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রাখতেই বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের), বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন ভোটযুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
তবে এবার নৌকার টিকিটধারী নেতা ভোটযুদ্ধে বঙ্গবীরের সঙ্গে পারবেন কিনা এ আলোচনা এখন স্থানীয় ভোটারদের মুখে মুখে।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতী ক বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতেই বঙ্গবীর নির্বাচন করবেন।
অন্যদিকে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বলেন, ‘এই আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এই আসনে সংসদ সদস্য থাকাকালে দৃশ্যমান কোনও উন্নয়ন হয়নি। তার জন্য ৫০ শয্যার বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। ফলে স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসাইল-সখীপুরের মানুষ। তিনি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেও এই আসনে সাধারণ মানুষের তেমনটা ভোট পাবেন না। এবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগই জয়ী হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’