মতবিনিময় সভা করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হাজী সেলিমের


৩৩৩
ঢাকা-৭ আসনের ১৩টি ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী সেলিম। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল ৫টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ করতে বের হন তিনি।
মতবিনিময় সভায় হাজী সেলিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনও কথা বলেননি। তবে হাত নাড়িয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চান তিনি। হাজী সেলিমের পক্ষে তার ছেলে সোলায়মান সেলিম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক সৈয়দ মার্শীদ শুভ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাউদ্দিন আহমেদ হারুন, সহ-সম্পাদক নাসির আহমেদ, জাহাঙ্গীর মোল্যা, এরশাদ উদ্যান, হাবিবুর রহমান পারভেজ, সদস্য নিজাম উদ্দিন পেসার ও মোস্তাফিজুর রহমান তপু।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট বলেন, ‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যেকোনও মূল্যে নৌকাকে জেতাতে হবে, আওয়ামী লীগকে জেতাতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেওয়া যাবে না।’ এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নানা উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। দেশ পিছিয়ে পড়বে।’২২২
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের অডিটরিয়ামে আসতে থাকেন। ১৫-২০টি গাড়িবহর নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন হাজী সেলিম। মতবিনিময় সভাশেষে পুরান ঢাকায় প্রচারণা চালানোর জন্য ছাদখোলা জিপে হাত নাড়তে নাড়তে বের হয়ে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সহস্রাধিক নেতাকর্মী। তাদের মুহুর্মুহু মিছিলে প্রচারণা ভিন্নমাত্রা পায়।
হাজী সেলিমের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীরা জানান, হাজী সেলিম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীকে নিজ হাতে কমলা বিতরণ করেন। এছাড়াও চকবাজারের পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে খেজুরের বাক্স পাঠিয়েছেন তিনি।
লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ আসন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি মার্কায় নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন হাজী সেলিম। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়লাভ করলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে হাজী সেলিমকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে হাজী সেলিমকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে হাজী সেলিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তার প্রতীক ধানের শীষ। এছাড়া এই আসনে আরও কয়েকজন প্রার্থী থাকলেও তারা সেভাবে আলোচনায় নেই।