এই আসনের বর্তমান এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় রাজনীতি করে আসছি। আমি এবং আমার সরকারের মাধ্যমে যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকায় ভোট দেবেন।’
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল তার নির্বাচনি এলাকা খিলগাঁও, বাসাবো, গোড়ান ও মানিকনগর এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকেলে সাবের হোসেন চৌধুরী বিশাল প্রচুরসংখ্যক নেতাকর্মীসহ নিজ নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। বিকেল ৪টার পর খিলগাঁও মডেল কলেজ চত্বর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আশপাশের বিভিন্ন অলিগলি ও প্রধান সড়কগগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিভিন্ন গানের সঙ্গে নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
প্রচারণার একপর্যায়ে মানিকনগর এলাকায় গিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় রাজনীতি করে আসছি। আমি এবং আমার সরকারের মাধ্যমে যদি আপনাদের উন্নয়ন হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকায় ভোট দেবেন।’
এই আসনে সাবের হোসেন চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তিনিও সকালে তার বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গণসংযোগ করেন।
সাধারণ ভোটাররা এ দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ও বিএনপি প্রার্থী আফরোজা আব্বাস ছাড়াও ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করছেন ‘আম’ প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহফুজা আক্তার, ‘হাতপাখা’ প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ মানিক মিয়া, ‘টেলিভিশন’ প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, ‘হারিকেন’ প্রতীকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আব্দুল মোতালেব ও ‘গোলাপফুল’ প্রতীকে জাকের পার্টির হুমায়ন কবির রয়েছেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা-৬ আসনকে দুই ভাগ করে ঢাকা-৮ ও ঢাকা-৯ করা হয়। ওই বছর এ আসনে সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শিরীন সুলতানাকে হারিয়ে বিজয়ী জন। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন তিনি। এর আগে ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে এ আসনে (তৎকালীন ঢাকা-৬) মোজাফফর হোসেন পল্টু দলীয় প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের কাছে পরাজিত হন।