আবদুস সালাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন– ‘মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি শাহজাহানসহ অন্যদের নিয়ে আমার নির্বাচনি এলাকায় তফসিল ঘোষণার পর যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের কথা জানাতে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম। কমিশনে অভিযোগ দিয়ে শাহজাহানকে আইডিবি ভবনের সামনে নামিয়ে দিয়ে আমি গুলশান যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোবাইল ফোনে জানতে পারলাম ওকে ধরে নিয়ে গেছে। গত পরশুদিনও আমার সঙ্গে থাকা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারাদিন আমার সঙ্গে থাকার পর যখন বাসায় যাচ্ছিলেন তখনও এভাবে তুলে নিয়ে গেছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে আমরা নির্বাচনটা করব কী করে?
‘৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জেনে আমি ফিরে এসে সচিব সাহেবকে বললাম, “আপনাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়ে গেলাম।” তার পরপরই আবারও এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল। তাহলে কি নির্বাচন কমিশনও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়? আমরা তাহলে কোথায় যাব। নির্বাচন করব, নাকি করব না? নির্বাচনের অথরিটি হলো কমিশন। তারা যদি অপারগ হয় তবে বলে দিক যে, “আপনাদের কোনও নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব না। আপনাদের কর্মীদের মাঠে নামতে নিষেধ করে দিন। হয় নির্বাচন করেন, না হয় না করেন।”
আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি সচিবকে বলেছি, হয়তো সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। আপনারা খোঁজ নিন কারা নিয়েছে। কোথায় নিয়েছে। কথা বলুন। ছাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওসমান গনির বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হয়নি এমন কোনও মামলা নেই। গায়েবি মামলা থেকেও তিনি জামিনে আছেন। কিন্তু তারপরও গ্রেফতার হলো। এই যদি অবস্থা হয়, কর্মীদের কী করে নির্বাচনে নামাব? আমি নিজেও নিরাপত্তা বোধ করি না। হয়তো আমি ১০ জন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি ময়দানে আসব, পরে যাওয়ার পর শুনব তাদের মধ্যে পাঁচজন নেই। আমি দেশবাসী ও ভোটারদের জানাতে চাই, আমাদের কর্মীরা কেউই নিরাপদ নয়। এমন অবস্থা হবে যে, প্রার্থী হিসেবে আমাকে একা একা মাইক নিয়ে ঘুরতে হবে, ভোট চাইতে হবে। এরপর আমাকেও গ্রেফতার করে নেবে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনে আসার পর যদি এই অবস্থা হয় তাহলে যাব কোথায়? আমি এই ঘটনার বিচার চাই। যত দ্রুত সম্ভব ইসির কাছ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সচিব বলেছেন বিষয়টি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানাবেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো.মাহবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।’