ড. কামাল বলেন, ‘আর মাত্র পাঁচ দিন আছে। আপনারা ভোটের মাধ্যমে দেখিয়ে দিন। আমাদের যেন কেউ আর প্রজা বলতে না পারে। আমরা প্রজা না। আমরা নাগরিক। স্বাধীন দেশের মানুষ কেউ প্রজা না। তারা নাগরিক। নাগরিকের দায়িত্ব আছে, কর্তব্যও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশ মানুষের মালিকানায়। কোনও রাজার মালিকানায় না।’
সরকারি দলের উদ্দেশে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘সাহস থাকে তো সামনে আসেন। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আসো সামনা-সামনি। কয় লাখ লোক মারবে। সব মানুষ মারতে পারবা না।’
আইজিপিকে উদ্দেশ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘বেআইনি আদেশ মানা অপরাধ। সাংবিধানিক কর্তব্য আপনাকে বলছি, বেআইনি আদেশ মানা অপরাধ। যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছেন—তারা কত বড় অপরাধী?’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ৩০ ডিসেম্বর গুনে গুনে ভোট দিয়ে আসবেন। আপনার ভোট যাতে হাইজ্যাক, জালিয়াতি করতে না পারে। ’
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিতরা এখন দেশ শাসন করছে। এটা মেনে নিতে পারি না। আমাদের যে ঐক্য আছে সেটা এগিয়ে নিতে হবে। কোনও স্বৈরাচারের মালিকের হাতে দেশ দেবো না।’
একই সভায় উপস্থিত থেকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। মানুষ জিজ্ঞাসা করে, সবাই তো সরকারের দালালি করে—ওরা ঠিক থাকবে তো?’
তিনি বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাই, ড. কামালও আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের শেষ আশ্রয়ের জায়গা সেনাবাহিনী যেন নিরপেক্ষ থাকে। আমরা চাই, যে সামরিক বাহিনী দেশের মুক্তির জন্য লড়াই করেছে, সুতরাং, তারা যদি নিরপেক্ষ থাকে, তাহলে সরকারি দলের খবর থাকবে না।’
মান্না আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আজকে আমাদের পরাজিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই লড়াইয়ে আমরা জিতবো। যদি আমরা সবাই দৃঢ় থাকতে পারি।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।