সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রার্থীরা গুলশানে আসতে শুরু করেন। প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটের অনিয়মের প্রতিবেদনও নিয়ে আসেন। এর আগে গত ১ জানুয়ারি বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থীদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছিল, ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেফতার এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইকবাল সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আমি আমরা নির্বাচনি এলাকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেখানে ভোটের অনিয়মের সব কিছু আছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা কী শুনছেন আমাদের নেতারা। কার এলাকায় কীভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তার চিত্র প্রার্থীরা তুলে ধরছেন।’
বৈঠকে যাওয়ার আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি, ফলে কারও শপথ নেওয়ার প্রশ্নেই আসে না।’ এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরপরও কেউ যদি শপথ নেয়, তাহলে সেটা জাতির সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ অংশ নিচ্ছেন।