রবিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে কূটনীতিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন এ কথা জানান।
গুলশানের একটি হোটেলে বিকাল ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন একাদশ নির্বাচনের পরিস্থিতি এবং ভোটের আগে ও পরের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশের নির্বাচনি সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও দেখানো হয়। তথ্য-প্রমাণসহ কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়।
কামাল হোসেন বলেন, ‘ভালো আলোচনা হয়েছে। ভোটের দিন যা ঘটলো সেটা আমরা তুলে ধরেছি। তারাও (কূটনীতিকরা) স্বচক্ষে দেখেছেন। অর্থাৎ এটা নিয়ে কোনও বির্তক হয়নি। আমাদের কথার সঙ্গে তারা দ্বিমত করেননি।’
তিনি বলেন, ‘তারা শুনলেন আমরা কী বললাম। আমি বলেছি, তোমরা সরকারকে বোঝাও যে, এর সমাধান করতে হলে আরেকটা ভালো নির্বাচন দিতে হবে। কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন, আমরা কী চাই। আমরা বলেছি যে, এই নির্বাচন যেহেতু হয়নি, আরেকটা ভালো নির্বাচন সরকার দিলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিতে পারবে, এটা হলে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমরা সবাই মিলে গড়বো।’
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, ভারত, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, স্পেন, জার্মানি, নরওয়ে, কানাডা, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি বেশি দেশের কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, গোলাম মওলা রনি, জেএসপির আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।