বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০ দলীয় জোটও আছে। আমাদের মাঝে কোনও টানাপড়েন নেই। আপনাদের চটকতার গল্পের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু আসতে পারে। তবে আমাদের মধ্য কোনও টানাপোড়েন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা, অথাৎ গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন তিনি। আজকের এই দিনে শপথ নিচ্ছি, গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করবো। সর্বোপরি যিনি এই পতাকা ধরে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে মুক্ত করবো। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।
জিয়াউর রহমানের ৮৩ তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহে নিহত হন জিয়াউর রহমান।