‘ভুয়া’ নির্বাচনকে বৈধ করতে সরকার যা করছে তা হাস্যকর: রিজভী


সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভোট ডাকাতির ‘ভুয়া’ নির্বাচনকে জায়েজ করতে সরকার যা যা করছে তা চরম হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভীর অভিযোগ, শনিবার তারা জনগণের কোটি কোটি টাকা শ্রাদ্ধ করে তথাকথিত বিজয়ের উৎসব উদযাপন করেছে। সারাদেশ থেকে বাসভর্তি ভাড়াটে লোকজন এনেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরতে পারেনি। সেখানে ‘নিশুতি রাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী’ ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তার দলকে জয়ী করতে জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণ নাকি এবার স্বতঃস্ফূর্ভভাবে ভোট দিয়েছেন। তার এমন বক্তব্যে জনগণ হাসবে না কাঁদবে তা তারা ভেবে পাচ্ছেন না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ মনে করেন, ভুয়া ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। কারণ, ভোটের আগের দিন রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের ভোটের অধিকারটা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। তারাই নিষ্ঠার সঙ্গে রাতভর ব্যালট বাক্স নৌকা মার্কায় সিল দেওয়া ব্যালট পেপারে ভরিয়ে দিয়েছে।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে শনিবার গণতন্ত্র হত্যার উৎসবে পরিণত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘শনিবার ভুয়া ভোটের সরকারপ্রধান যখন বাংলাদেশে ভোটাধিকার হরণের পর উৎসব করছেন তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিরোনাম ছিল বাংলাদেশে নির্বাচন অবশ্যই সঠিক ছিল না। বিবিসি’র হেডলাইন ছিল গণতন্ত্র থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ।’

রিজভীর দাবি, মিথ্যা জয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছেন। এরা বিরোধী দলের সহায়-সম্পত্তি দখল ও লুটের পাশাপাশি নারীদের ওপর হানাদার বাহিনীর কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে সৌজন্যবোধ ও হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে। এদের হাত থেকে মা-বোন-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না।