শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও বহাল, বাংলা ট্রিবিউনকে সুব্রত চৌধুরী

সুব্রত চৌধুরী (ফাইল ফটো)গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। এই সিদ্ধান্ত তো আমরা পরিবর্তন করি নাই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের সিদ্ধান্ত একই।’
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, আমাদের (গণফোরামের) দুইজনসহ কেউ শপথ নেবেন না। এই সিদ্ধান্ত বহাল আছে।’
শপথ নিলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘কেউ যদি পার্টির সিদ্ধান্ত না মানেন বা জাতির আকাঙ্খার প্রতি সম্মান না দেখান তাহলে যা হওয়ার তাই হবে। এখন সেটা তাদের ব্যাপার। যেহেতু কথাগুলো (শপথ গ্রহণ) পত্র-পত্রিকায় আসছে, বাস্তবে কী হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। তবে আমরা এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলবো। দলীয় সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যেন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া না হয় সেটা আমরা অনুরোধ করবো। এখানে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও সুযোগ নেই।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এখনও শপথ নেওয়ার পক্ষে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন গণফোরামের কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করেন তাহলে ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে তিনি কী করবেন সে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি দেশে ফিরলে আমরা নাগরিক সংলাপ নিয়ে বৈঠক করবো। সেই বৈঠকে এ বিষয়টাও আলোচনায় আনবো। তখন যা সিদ্ধান্ত হওয়ার হবে।’
এদিকে গণফোরামের দুই সদস্য নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ঐকফ্রন্টের অন্য শরিক দলের নেতারা। তারা বলছেন, ড. কামাল হোসেন দেশে আসলে গণফোরামের এই দুই (সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান) নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে ডাকা হবে। তাদের কাছ জানতে চাওয়া হবে কেন তারা এই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। তখন তারা যদি শপথ নিতে চান, তাহলে কামাল হোসেনকে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হবে। তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা দেখে আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘গণফোরামের এই দুইজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিতে চাইলে শুরুতে তারা বলতে পারতেন। এতো নাটক করার কোনও দরকার ছিল না। তারা যেহেতু গণফোরাম থেকে নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে ড. কামাল হোসেনকে নিতে হবে। অপেক্ষা করা ছাড়া তো আমাদের আর কিছু করার নেই।’

আরও পড়ুন: কখনও বলি নাই শপথ নেবো না, বললেন গণফোরামের দুই এমপি