তিন কারণে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি : মওদুদ

মতবিনিময় সভায় মওদুদ আহমদদলকে তৃণমূল থেকে পুনর্গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তরুণদেরকে নেতৃত্বে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিন কারণে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথম কারণ হলো- বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। যদি না যেতাম, তাহলে আপনারাই (নেতাকর্মী) বলতেন না গিয়ে ভুল করেছি। আরেকটি কারণ হলো, নির্বাচনে গেলে আমাদের নেতাকর্মীরা বের হয়ে আসতে পারবেন। মানুষের কাছে যেতে পারবেন। আর শেষ কারণ ছিল, ড. কামাল হোসনের ওপর অন্ধ বিশ্বাস। তবে, নির্বাচনে এতটা খারাপ অবস্থা হবে, তা ধারণায় ছিল না।’

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আন্দোলন বললেই আন্দোলন হবে না। সারাদেশে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলে তারা আপনাদের জন্য বা খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন করবেন।’

মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের একজন প্রার্থীকেও সুষ্ঠুভাবে ৯০ ভাগ প্রচারণা চালাতে দেয়নি। প্রার্থীদের ও নেতাকর্মীদের বাড়ির পাশে বোমা ফাটিয়েছে। ভয়ভীতি ছড়িয়েছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে, যেন তারা ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলে বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। ছেলেদের জেলে পাঠাবে।’

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্বাচনে সরকার পুলিশকে নগদ টাকা দিয়েছে। আগে আমরা প্রার্থীরা ক্যাশ টাকা দিতাম। কিন্তু, সরকার যে ক্যাশ টাকা দেয়, সেটা আগে জানা ছিল না। এটা হাতে-কলমে প্রমাণ করা যাবে না। তবে কথাগুলো শতভাগ সত্য।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তিনি একেবারেই হাঁটতে পারেন না। দুই হাতেই ব্যথা। শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ। সরকার যে পদ্ধতি করেছে, এখান থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। যতদিন সম্ভব না হবে, ততদিন দেশে সভ্যতা ফিরে আসবে না।’

সভায় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।