নির্বাচনের নামে তামাশায় অর্থ অপচয় হচ্ছে: সাইফুল হক





৩৩৩৩অকার্যকর নির্বাচনি ব্যবস্থায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও পুরোপুরি অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে এসব তামাশায় অর্থ ব্যয় ও সময় ব্যয় অপ্রয়োজীয়, যা জাতীয় অপচয়।





সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা কর, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের অভূতপূর্ব ভোট জালিয়াতির পর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও জাতীয় নির্বাচনের মতো অর্থহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সরকারের শরিকরাও এ কারণে এসব নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রত্যাখান করছে। এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হলো।

সাইফুল হক বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ও নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি দেশ-জনগণের জন্য এক গুরুতর অশনি সংকেত এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করেছে। গণসংগ্রামের ধারায় এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারে চরম অগণতান্ত্রিক দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট শক্তি। তাই এই শ্বাসরুদ্ধকর অবদমনের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরপেক্ষ তদারকি (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সজীব সরকার রতন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমরান হোসেন প্রমুখ।