গত (১৪ জানুয়ারি) জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক অধিবেশনে নেওয়া দুই পৃষ্ঠার নির্দেশনার একটি সতর্কবার্তা দলটির শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার একাধিক সদস্যদের কাছ থেকে এমন একটি চিঠি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারির পদ থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ ও শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুর বহিষ্কারের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা পাঠায় জামায়াত। জামায়াতের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, সংগঠনের সব সিদ্ধান্ত জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, অঞ্চল দায়িত্বশীল এবং জেলা ও মহানগর আমীরদের মাধ্যমে যথা সময়ে সরাসরি জানানো হবে। এর বাইরে কারও আবেদন, নিবেদন ও অনুরোধে কোনও জনশক্তি (নেতাকর্মী) যাতে সাড়া না দেয় সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
দল থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগে জামায়াত মর্মাহত উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, দীর্ঘদিন তিনি এই সগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে আইন অঙ্গনে সংগঠনের কঠিন সময়ে অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা অতীতে তার সব অবদানকে সম্মানের চোখে দেখি।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাপারে কর্মীদের বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশনায় আরও বলা হয়, তিনি পদত্যাগের বিষয়টি জানালে আমরা তাকে অনুরোধ করেছিলাম পদত্যাগ না করার জন্য। এতে তিনি সম্মত হননি। গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের বিষয়টি জানাবেন বলে আমাদের জানালে আমরা তাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম মিড়িয়াতে এ বিষয়ে কথা না বলতে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তিনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা করেননি।
মজিবুর রহমান মঞ্জুকে দল থেকে বহিষ্কারের কারণ ব্যাখা করে চিঠিতে বলা হয়, তিনি গত কয়েক বছর থেকে সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশ্যে ভিন্ন মত প্রকাশ করে আসছিলেন। একাধিকবার সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিহার করার জন্য তাকে সর্তক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ
শিবিরের সাবেক সভাপতি মঞ্জু জামায়াত থেকে বহিষ্কার
মূল দল ঠিক রেখে নতুন সংগঠনের চিন্তা জামায়াতের