সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নামলো কেন: মঈন খান

মানববন্ধনে ড. মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ‘গতকাল জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তা হচ্ছে সারা বিশ্বে সুখী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। বলতে লজ্জা হয়, বাংলাদেশ সুখী দেশগুলোর যে পজিশনে ছিল সেখান থেকে ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে। সরকার সব সময় বলছে বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের রোল মডেল। তাহলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নামলো কেন? এর জবাব সরকারকে দিতে হবে। ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন টিকে থাকা যায় না।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি’তে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বর্তমান সরকার মেগা প্রজেক্ট করছে। এতে লাভবান হচ্ছে সরকারের গুটিকয়েক পোষা লোকজন। কয়েকদিন আগে একটি কথা শুনেছি, বাকশালের মাধ্যমে নাকি গণতন্ত্র হয়। আমার প্রশ্ন, পৃথিবীতে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই লিখেছেন তারা কি সেই বই বাতিল করে নতুন করে বই লিখবেন বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হয়?’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে পুনরায় তার নেতৃত্বেই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুনরায় এদেশে গণতন্ত্র কায়েম করা হবে। সেই গণতন্ত্র হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সে গণতন্ত্র বাকশালী গণতন্ত্র নয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনোদিন এদেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা চেয়েছে একদলীয় শাসন। ১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করে নাই। একদলীয় শাসনের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।’
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, রোকেয়া চৌধুরী তামান্না, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা প্রমুখ।