বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভীর বলেন, ‘ভিন্ন মত বা বিরোধী দলের প্রতি সহিষ্ণুতা, মানবিকতা, সততা ও সহানুভুতি নেই আওয়ামী লীগের। গণতন্ত্র হরণ ও বিরোধী দল নিধন যাদের সরকারি কর্মসূচি, তাদের কাছ থেকে মানবতা আশা করা যায় না।’
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি জুলুমের ঊর্ধ্বগতি বন্ধ করুন। তাকে নিয়ে রাজনৈতিক ধূর্তামি বন্ধ করুন। এই মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা প্রাপ্তির বন্ধ করার পথকে খুলে দিন। তার জীবন নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলায় জনগণ ক্ষোভে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে। এই সীমাহীন অন্যায়ের জবাব জনগণ একদিন দেবে।
সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তিনি একটি অস্বাস্থ্যকর ও পরিত্যক্ত কারাগারের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৭৪ বছর বয়সী এই নেত্রীকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি করে রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এক অনন্ত প্রতিহিংসার জ্বালা মেটানো। তাকে সরকার সরাসরি গলা টিপে হত্যা না করে এভাবে বিনা চিকিৎসায় অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখে তিলে তিলে হত্যা করার চেষ্টা করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাকশালী আলামত এখন সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান বলেও দাবি করে রিজভী বলেন, ‘তার সামান্য সমালোচনা করায় কৃতি ফুটবলার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বরেণ্য সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আলোকিত ব্যক্তি আইসিটি আইনে মামলা খেয়ে এখন কারাগারে কিংবা কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে মামলার খড়গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’