একাদশ সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের ব্যয় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা

আওয়ামী লীগ

 

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব দিলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে দলটির ব্যয় হয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ ৭ হাজার টাকা।

রবিবার (২১ এপ্রিল) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে দলের নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

৩০ ডিসেম্বরের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬০ জন প্রার্থী দিয়েছিল। এতে দলীয়ভাবে সাড়ে চার কোটি টাকা নির্বাচনি ব্যয়ের সুযোগ ছিল।

এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং নবম সংসদ নির্বাচনে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৪ টাকা নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দেখিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচন থেকে ব্যয় রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু হয়।

এইচ টি ইমাম জানান, নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে যথাসময়ে ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। এবারও কমিশনে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালে নির্বাচনি ব্যয় কিছুটা বেড়েছিল। এবার কমেছে। এবার নির্বাচনি ব্যয় কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবারে আমাদের একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, তা হলো—অন্যান্য বছর দলের অনেক প্রার্থীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবারে আর সেটি করা হয়নি। সেদিক থেকে আমাদের ব্যয় কম। আবার এবারে আমরা আয় পেয়েছি বেশি, অনেকেই অনুদান দিয়েছেন।’

এইচ টি ইমাম জানান, দলের প্রার্থীরা আইনের বিধান মতে এরইমধ্যে স্ব-স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেছেন।

কত টাকা ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি। এটা পাবলিক ডকুমেন্ট, তাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন। ইসির ওয়েব সাইটেই পেয়ে যাবেন।’

তবে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য জানান, তারা ১ কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন।

ইসিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় ব্যয় রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন—ডা. দীপু মনি, মাহবুবউল আলম হানিফ, এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার, আনোয়ার হোসেন, গোলাম রাব্বানী চিনু, সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।

সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ৩ হাজার ৬২৮টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছিল। আওয়ামী লীগের প্রতিটি ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার তহবিল গড়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

ইসি সূত্র জানায়, একাদশ সংসদে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দলই কমিশনে এখনও তাদের ব্যয় রিটার্ন জমা দেয়নি।