জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ মোদি সরকারের ‘সাংবিধানিক ক্যু’: সাইফুল হক

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক

ভারতের সংবিধান থেকে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ মোদি সরকারের ‘সাংবিধানিক ক্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ৩৭০ ও ৩৫ ধারা বিলোপ হঠকারী ও নতুন করে কাশ্মিরি জনগণের ওপর প্রতিরোধ যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

কাশ্মির সংকটের সামরিক সমাধান নেই উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিকভাবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও লোকসভাকে পুরোপুরি এড়িয়ে চোরাগোপ্তা কায়দায় যেভাবে জম্মু-কাশ্মিরের মুক্তিকামী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হল তা উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী চরম অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপেরই বহিঃপ্রকাশ। এই অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে মোদি সরকার ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মিরের সংযুক্তির সাংবিধানিক ও ঐতিহাসিক সেতুবন্ধনকে কার্যত ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

কাশ্মিরের ভারতভুক্তির চুক্তিগুলো বিলুপ্ত হলে এগুলোর বৈধতা থাকবে না উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির অর্থ কাশ্মিরের ভারতভুক্তির চুক্তিরও বিলোপ সাধন। এই অবস্থায় ওই এলাকার জনগণ নিজেদের আত্ম নিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত, পাকিস্তান, চীনের রাজনৈতিক ও সামরিক খবরদারির বাইরে কী পথ বেছে নেবে একান্তভাবে তা কাশ্মিরের জনগণকেই নির্ধারণ করতে হবে।

আত্ম নিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রশ্নে কাশ্মিরের জনগণের প্রতি উপমহাদেশের শান্তিকামী জনগণসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশিত বলেও মনে করেন সাইফুল হক। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে চূড়ান্ত ‘হঠকারী’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, এই পদক্ষেপ ভারতের জনগণের জন্যেও আত্মঘাতী। 

মোদি সরকার বাতিল করা চুক্তিগুলো পুনঃস্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই বাম নেতা।