চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান ন্যাপের

বাংলাদেশ ন্যাপ

গত কয়েক বছরের মতো এবছরও কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের যে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

জেবেল রহমান গাণি ও গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কোরবানি ঈদের আর মাত্র চার দিন বাকি। প্রতিবছরই নামছে পশুর চামড়ার দাম। গত ঈদুল আজহায় এক লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। এবারও পানির দামে চামড়া কিনতে সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা রয়েছে।’

ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে বেশি দামে তা রফতানি করে থাকেন। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কম থাকছে। আর এবার তার থেকেও কমদামে চামড়া কিনতে চান ব্যবসায়ীরা।’

তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে  মাত্রাতিরিক্তভাবে দাম কমিয়ে রেখে অস্বাভাবিক মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। চামড়ার দাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের হকদার হচ্ছে গরিব ও এতিমরা। দাম কমানোর ফলে গরিব ও এতিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরিবদের ঠকিয়ে একদল ধনী সিন্ডিকেট করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে, এটা কাম্য হতে পারে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কা থাকায় এবছরও চামড়া পাচার বাড়তে পারে বলে অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন। এই ঈদে সংগৃহীত চামড়ার একটি বড় অংশ পাচারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আড়তদারদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রতিবছরই চামড়া পাচার করেন। দাম কম হলে দেশের আড়তে চামড়া বিক্রি না করে ভারতে পাচার করা হয়।