জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ)শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সভায় আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দলটি গণতন্ত্র হরণের কথা বলছে। তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছে? জীবন্ত মানুষকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার নামই কি গণতন্ত্র? আগুন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না- সেটার নামই কি গণতন্ত্র? এতিমের টাকা লুটেপুটে খেলে বিচার করা যাবে না তার নামই কি গণতন্ত্র? খালেদা জিয়ার ছেলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবে কিন্তু কিছু বলা যাবে না সেটাই কি গণতন্ত্র?’
বিএনপি ও জামায়াতকে পাকিস্তানের ‘প্রেতাত্মা’ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন মাত্র। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয় বরং পাকিস্তানের চর এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন যা তার পরবর্তী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। খুনিদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। প্রকৃতপক্ষে এই দেশকে পুনরায় পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই কাজ করেছিলেন তিনি।’