কাশ্মিরের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা কাশ্মির সংহতি ফোরামের

কাশ্মিরের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা

কাশ্মিরের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলো ‘সর্বদলীয় কাশ্মির সংহতি ফোরাম বাংলাদেশ’। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট ও হেফাজতভুক্ত কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃত্বে গঠিত ‘সর্বদলীয় কাশ্মীর সংহতি ফোরাম বাংলাদেশ’ একাত্মতা ঘোষণার মাধ্যমে মিছিল করে।

‘সর্বদলীয় কাশ্মির সংহতি ফোরাম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও জমিয়তে উলামা ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী এ ঘোষণা দেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতিও। বিক্ষোভ সমাবেশে নূর হোসেন বলেন, ‘ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর কাশ্মির এখন স্বাধীন। তারা এই ধারা প্রয়োগ করেও প্রমাণ করেছিল কাশ্মির স্বাধীন রাষ্ট্র। এখন কাশ্মিরের মানুষ স্বাধীনতা চায়। আমরাও তাদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকবো। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

মাওলানা নূর হোসেন আরও বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের রেজুলেশনে বলা আছে— গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মিরের জনগণ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এটাই প্রমাণ করে কাশ্মির কখনও ভারতের অংশ ছিল না। সেখান থেকে এসে ভারত সংবিধানে ৩৭০ ধারা যুক্ত করে  কাশ্মিরকে  ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে আবারও প্রমাণ করে সেটা তাদের অংশ ছিল না। এখন ৩৭০ ধারাই প্রমাণ করে কাশ্মির আজাদ (স্বাধীন)। কাশ্মিরের জনগণ আজাদি চায়। তারা আজাদির জন্য লড়াই করছে। তারা স্বাধীনতা চায়। আমরাও তাদের স্বাধীনতার পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করছি।’

সমাবেশে আরও  বক্তব্য  রাখেন— জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, কওমি কাউন্সিলের নেতা মাওলানা মুমিনুল হক, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমুখ।