রাঙ্গা বলেন, ‘সামনে অনেক পরিবর্তন হবে। অনেকে যোগদান করবে। প্রয়োজনে প্রেসিডিয়ামের সংখ্যা একশ হবে। এরপর সিনিয়রদের ২১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি করা হবে। তারা দলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এরশাদ আমাকে তিনবার বহিষ্কার করেছিলেন। কর্মীরা না চাইলে কালকেই আমি মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তত।’
বিভাগীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘পার্টির ভাঙ্গন ঠেকাতে আমরা সবাই একযোগে কাজ করেছি। রংপুর- ৩ আসনে আমরা সবাই চেয়েছি, এরশাদ পরিবার থেকে এখন এমপি হোক। সবার সিদ্ধান্তেই সাদকে এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাদকে জেতাতে যদিও আমরা নিজেরা যথেষ্ট। তারপরও আশা করছি, সরকারি দল এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে।’
সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের বলেন, ‘অনেকে মনে করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে যাবে। আল্লাহর রহমতে তা হয়নি। আমাদের মাঝে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তা ছিল সাময়িক। আমাদের এ ঐক্য ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যকদ্ধ হতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের এক ও অভিন্ন। তাদের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।’
প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের সঞ্চালনায় বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এসএম সাত্তার, জহিরুল আলম রুবেল, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শফিকুল ইসলাম শফিক, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, হোসেন ইয়াহিয়া, মোতাহার হোসেন মানিক।