জনবিচ্ছিন্ন আ. লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে: আমীর খসরু

প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁতী দলের মানববন্ধন

ভোট চুরিসহ নানা অপকর্ম করে ক্ষমতা দখলকারী জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন  খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁতীদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করেন, এত নির্যাতনের পর বিএনপি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে আমার প্রশ্ন, যারা রাতের আঁধারে মানুষের ভোট চুরি করে, জোর করে দক্ষতা দখল করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারে আছে, সেই আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। এই দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?  তারা তো জনগণের মুখোমুখি হতে পারছে না।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চলার পথ হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের নির্ভরশীলতা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে। আমাদের নির্ভরশীলতা কোনও সরকারি সংস্থার ওপর নয়। বিএনপি আজ  অনেক বেশি শক্তিশালী। গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে এই বিএনপি। এ দলের নেতা খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের মা। তাকে আজ  কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারণ, তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি বাইরে থাকলে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় যেতে পারতো না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমির খসরু বলেন, ‘সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেই প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা সহজ। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিগত দিনে দেশনেত্রী  খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কারাগারে আটকে রেখেছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ টেনে খসরু বলেন, ‘তাকে যেমন আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, খালেদা জিয়াকেও আটকে রাখতে পারবে না এই  স্বৈরাচার সরকার। দেশের মানুষের মধ্যে আগুন জ্বলছে। তারা তাদের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নামবে।’

মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।