আবরারের জীবনদান আধিপত্যবিরোধী সংগ্রামের মাইলফলক: জমিয়ত

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নূর হোসাইন কাসেমী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আবরারের জীবনদান আধপিত্যবিরোধী সংগ্রামে আগামীর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকব। দেশ ও জাতি গভীর সংকটের মুখে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন,‘৬ অক্টোবর বুয়েটের  ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে খুন করেছে। তার অপরাধ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেওয়ার প্রতিবাদ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া। সারাদেশের মানুষ গভীরভাবে শোকাহত, চরম উত্তেজিত। দেশের পক্ষে একটি স্ট্যাটাসের জন্য কাউকে নিজের দেশের মানুষের হাতে এভাবে জীবন দিতে হবে এটা কল্পনাতীত। তেমনি গভীর উদ্বেগ ও অশনি সংকতেও বহন করে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে আবরার ফাহাদকে প্রথম শহীদ হিসেবে আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। আবরারের জীবনদান আধপিত্যবিরোধী সংগ্রামে আগামীর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

দেশের সব খতিব, ইমাম ও সর্বস্তরের মুসলমানদের জুমার নামজের পর আবরার ফাহাদের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করার আহ্বান জানান তিনি।

নুর হোসাইন বলেন, ‘দিল্লিতে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।  সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির বিষয়ে জনগণকে জানায়নি। নতুন এসব চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অবারিত সুযোগ পাবে ভারত। এতে করে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে ভারতরে পূর্বাঞ্চলে মাল আনা-নেওয়া করতে বাংলা দেশের প্রধান প্রধান সড়ক ও রেল পথ ব্যবহার করতে পারবে ভারত। বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি তুলে ত্রিপুরায় নিতে পারবে। দেশের উপকূল অঞ্চলে ভারতকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে একতরফা এসব চুক্তি সংবিধান পরিপন্থী। আমরা ফেনী নদীর পানি নেওয়া, বন্দর ব্যবহার, ট্রানজিট, ভারতীয় রাডার স্থাপনসহ সব চুক্তি বাতলিরে দাবি জানাচ্ছি।’