ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ইসলামি দলগুলোর

আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় (ছবি: ভোলা প্রতিনিধি)ভোলার বোরহান উদ্দিনে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির জের ধরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। রবিবার (২০ অক্টোবর) পৃথক বিবৃতিতে দলগুলো এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।

এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আল্লাহ ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ভোলার বোরহান উদ্দিনে মুসল্লিরা প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে। মুসল্লিদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হামলা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। ভোলার মাটি আজ  নবী প্রেমিক তাওহিদি জনতার রক্তে রঞ্জিত। ভোলায় মুসল্লিদের বুকে গুলি চালিয়ে পুলিশ লাখো কোটি তাওহিদি জনতার বুকে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে। মুসল্লিদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হতাহতের দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’

বোরহান উদ্দিনে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও গুলিবর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে দলটি।

পৃথক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, ‘এ হামলা ও হত্যাযজ্ঞ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার পর কোনও মুসলমান ঘরে বসে থাকতে পারে না। ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশের পুলিশ প্রশাসনের কাছে মানুষ যদি ন্যূনতম আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ইজ্জতের নিরাপত্তাটুকুও না পায়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। ভোলায় পরিস্থিতির এমন কোনও অবনতি ঘটেনি যে, সেখানে পুলিশকে গুলি করতে হবে। অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রবাদী কোনও চক্রের এজেন্টরা এই ঘটনা ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। অবিলম্বে এই জঘন্য, পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় তাওহিদি জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’

আরও খবর...


বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে নিহত ৪, অর্ধশতাধিক আহত