নেতৃত্বের আদর্শচ্যুতির অভিযোগ, ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়লেন বিমল বিশ্বাস

বিমল বিশ্বাস

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে পদত্যাগ করছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস। পার্টির মূল নেতৃত্বের আদর্শচ্যুতির কারণ দেখিয়ে তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে।

বিমল বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে ওয়ার্কার্স পার্টির মূল নেতৃত্ব মুখে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের কথা বললেও কাজ করেন সেই আদর্শের বিরুদ্ধে। এই কারণে আমি পার্টি ছেড়েছি।’

বিমল বিশ্বাস পদত্যাগপত্রে বলেন, ‘কৌশলের নামে ওয়ার্কাস পার্টি তার নীতিকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৌশলগত যে ঐক্য, তাকে কাজে লাগানো হয়েছে এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার জন্য। লুটেরা ধনিক শ্রেণির যে কোনও দলই সমাজ বিপ্লবকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূলগতভাবেই শত্রু।’

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টির গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সদস্যপদের ধারাগুলিকে পদদলিত করে এবার ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় সদস্য বৃদ্ধির নামে যাকে তাকে সদস্যপদ দিয়ে পার্টির শক্তি বৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে। পার্টি ও শ্রেণি গণসংগঠনের আন্তঃসম্পর্ক, ফান্ড পলিসি, ক্যাডার পলিসিসহ অনেক ব্যাপারেই মতপার্থক্য রয়েছে।’

অগণতান্ত্রিক পথেই পার্টি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিমল বিশ্বাস বলেন, ‘তার সঙ্গে যে আদর্শিক, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পার্থক্য তা দূরীভূত হবার নয়। তাই পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’  

পদত্যাগের চিঠিতে বিমল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এবং এই বছরের ২৬ এপ্রিল পলিটব্যুরোর সভায় আমি অব্যাহতি চেয়েছিলাম। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং ড. সুশান্ত দাসের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের আলোচনায় বলার চেষ্টা করেছি যে, আমার পক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টি করা সম্ভব না। যদিও সভাপতি বলেছেন, আমি নাকি একথা বুঝিয়ে বলতে পারিনি। ফোরামে প্রকাশিত আমার লেখায়ও নির্ধারিত শব্দসীমার মধ্যে সেটা বলেছি।’

উল্লেখ্য, এরআগে ১৯ অক্টোবর ‘মেননের পার্টি ভাঙছে?’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।