স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাওসারকে অব্যাহতি

অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মূল দল বা সহযোগী সংগঠন কিংবা এমপি যে যত প্রভাবশালী নেতাই হোক না কেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তারা সবাই নজরদারিতে আছেন।’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ইউটার্ন নিয়েছেন। তার পরিণতি ভবিষ্যতে জানা যাবে।’

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক ক্ষমতা বলে মোল্লা আবু কাওসারকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে  যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আ.লীগকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য, নিজেদের সমর্থক বাড়ানোর জন্য দলে অনুপ্রবেশ করাবেন না। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। আমরা আওয়ামী লীগকে একটি নতুন মডেলে সাজাতে যাচ্ছি। নেত্রী আমাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোনও বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলে স্থান দেওয়া যাবে না। যদি কোনও বিতর্কিত ব্যক্তি দলে অনুপ্রবেশ করে থাকে, তাহলে আপনারা তাকে দল থেকে বের করে দিন। আওয়ামী লীগে লোকের অভাব নেই। বিতর্কিত কোনও ব্যক্তিকে দলে দরকার নেই।

ইউ-টার্ন নিয়েছেন মেনন

একাদশ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্য থেকে অলরেডি ইউ-টার্ন নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে গণমাধ্যমে এসেছে। তার দলে তার অবস্থান এবং চলমান পরিস্থিতিতে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলা আমার সমীচীন নয়। ১৪ দলের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে, তারা আমাকে বলেছেন, রাশেদ খান মেননের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আরও আলাপ-আলোচনা করে তার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। একজন ব্যক্তির (মেনন) জন্য একটা অ্যালায়েন্সে ভাঙন হতে পারে না বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

ইস্যু পাবে না বিএনপি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি জানে এখন আন্দোলন করার মতো কোনও ইস্যু তারা পাবে না। হালে পানি পাবে না, জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। তাই তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছে। তাদের সে অপচেষ্টাও মাঠে মারা গেছে। এখন তারা বলছে, ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেই তারা চাঙ্গা হয়ে যাবে। আমি একটা জিনিস বুঝলাম না, যারা তাদের নেত্রীর কারাবরণের পর পাঁচ হাজার লোক নিয়ে একটা আন্দোলন করতে পারলো না, কামাল সাহেব দেখা করলেই কীভাবে চাঙ্গা হয়ে যাবে। এটা হাস্যকর।’