শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে রায় প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে খেলাফত মজলিস।
দলটির আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক বিবৃতিতে রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায়ে মুসলমানরা ন্যায়বিচার পায়নি। মসজিদটি ভাঙার সময় ভারতে অনেক মুসলমানকেও হত্যা করা হয়। আর আজ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দিয়ে শুধু ভারতের মুসলমানদের নয়, বিশ্বের মুসলমানদের ব্যথিত করেছে। রায়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্য স্থানে পাঁচ একর জমি দেওয়ার বিষয়টি মূলত মুসলমানদের প্রতি করুণা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, রায়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের মনোভাব ও পরিকল্পনার প্রতিফলন হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ মুসলমানদের পক্ষে কোনোভাবই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। জোর করে ও অন্যায়ভাবে কোনও আদেশ চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম শুভ হয় না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির বানানোর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত কোনও মুসলিম এ রায় মেনে নিতে পারে না। প্রয়োজনে লাখো মুসলমান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা প্রতিহত করবে।
এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। শনিবার রাতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির বিক্ষোভ মিছিলের আগে আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করেছে। তাদের রিপোর্টে বাবরি মসজিদের নিচে একটি স্থাপনা ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে, তবে আদতে সেই স্থাপনা কীসের তা স্পষ্ট নয়। এ ধরনের একটি অস্বচ্ছ রিপোর্টের আলোকে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিলো তা আদালতের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি এ রায় প্রত্যাখ্যান করে মুসলমানদের অধিকার সমুন্নত করার দাবি জানান।