‘ডা. মিলনের আত্মদান ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য করে তুলেছিল’

ডা. শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহার আত্মদান যেমন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও আইয়ুব খানের পতন নিশ্চিত করেছিল তেমনি শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মদান ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানকে অনিবার্য করে তুলেছিল। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের আন্দোলনের কাছে সামরিক স্বৈরাচারের পরাজয়ের এক বিরল ইতিহাস সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ৯০ এর এরশাদ সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, বিএমএ’র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাসদ-এর সহসভাপতি মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ করিম, বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. নাজমুল হাসান কিশর, নাদের চৌধুরী, শফিউদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, মোহাম্মদ মোহসীন, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, মুহিবুর রহমান মিহির, উম্মে হাসান ঝলমল, আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।
জাসদের সহ-দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যেকোনও জাতীয় আন্দোলনে পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জয়-পরাজয়ে নির্ধারক ভূমিকা রাখে। পেশাজীবীরা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হবেন না। দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি করবেন না। কিন্তু দেশপ্রেমিক ও রাজনীতি সচেতন হবেন। দেশের যেকোনও সংকটকালে পেশাজীবীরা জাতির বিবেকের ভূমিকা পালন করবেন।
বক্তারা বলেন, শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল তা এগিয়ে নিতে হলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিপদ, হুমকি দূর করতে হবে এবং দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।