মানবাধিকার হরণকারীরাই সবচেয়ে বড় ডাকাত: ড. কামাল

প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেনমানবাধিকার হরণকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা মানবাধিকার হরণ করে তাদের চেয়ে বড় ডাকাত আর কেউ হতে পারে না। আমরা তো পরাধীন নই। সংবিধান অনুযায়ী আমরা স্বাধীন দেশের মালিক। স্বাধীন দেশের মালিক হিসেবে আমাদের যে অধিকার, তা এক মুহূর্তের জন্যও হারাতে পারি না।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদ আয়োজিত বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যে মানবাধিকারের জন্য ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে; সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি গ্রামগঞ্জে এই মানবাধিকার আদায়ের বিষয়টি মিটিং করে আলোচনা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনভাবে কথা বলার যে অধিকার দিয়ে গেছেন, সেই অধিকার আমাদের নেই। সেই অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাদের সঙ্গে আমরা বেইমানি করতে পারি না।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘বাঙালি অন্যায় মেনে নেওয়ার জাতি না। পাকিস্তান বুঝতে পারেনি, এর জন্য তাদের মাশুল দিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক স্বৈরশাসক বুঝতে না পারায়, তাদেরও মাশুল দিতে হয়েছে। এখনও যদি কেউ মনে করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকবে, তা পারবে না। এই বাঙালি জাতি থাকতে দেবে না।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর গণতন্ত্রের অর্থ হলো দেশের জনগণের অধিকার। সেই অধিকার যদি কেউ অন্যায়ভাবে হরণ করার চেষ্টা করে, তার মানে এই নয় যে আমরা অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। অন্যায়ভাবে অধিকার হরণ সবচেয়ে বড় ক্রাইম। এই ক্রাইমকে ধ্বংস করে আমাদের সেই অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সা‌বেক রাষ্ট্রদূত মো. মোফাজ্জল ক‌রিম প্রমুখ।