‘কারাগারে থাকা ছাত্রদলের দুই নেতা কীভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন?’

 

রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ফটো)ছাত্রদলের দুই নেতা কারাগারে থেকে কীভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন, তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা কি কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ি পুড়িয়েছেন? ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার বহুদিন ধরে জেলে। একইসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানও কারাগারে। অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে।’

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর হাই কোর্টের সামনে তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মামলা করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।  আসামিদের মধ্যে দুই জনের নাম রয়েছে, যারা অনেক আগে থেকেই অন্য মামলায় জেল খাটছেন। তারা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার ও  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলনেতা মোস্তাফিজুর রহমান।  

রিজভী বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাতে এই মধ্যরাতের ভোট ডাকাত সরকার তাদের খয়ের খাঁ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুই মামলা করেছে। হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ দুই মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। এটি বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ।’

বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, ‘অবৈধ সরকারের চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে আবারও অস্থির হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারও উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মতো পুলিশেরাও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দি নেতাদেরও গায়েবি মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে। সরকার বর্তমানে নতুন কোনও ইস্যু পাচ্ছে না। তাই আগেরমতো আবারও আগুনের খেলা শুরু করছে।’

রিজভী বলেন, ‘‘ঘটনার পর ডিএমপি রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম শামীম সাংবাদিকদের জানান, ‘কারা কী উদ্দেশ্যে গাড়িগুলোতে আগুন দিয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মোটরসাইকেল তিনটির মালিকানা কেউ দাবি না করায় মনে হচ্ছে আগুনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক। ঘটনার পর এখনও বেওয়ারিশ মোটরসাইকেলগুলো মালিক খুঁজে পায়নি পুলিশ! অথচ মামলা হয়েছ ১৩৫ জন নেতার নামে।’’

রিজভীর প্রশ্ন, তিনটি মোটরসাইকেল পোড়াতে ১৩৫ নেতার প্রয়োজন পড়লো?

তার দাবি, সবাই এটা জানেন, যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন এবং সরকারের বিশেষ বাহিনী পরিকল্পিত একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে মামলা দিচ্ছে।