জ্বালানির দাম বাড়ালে জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে: ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশজ্বালানির দাম বাড়ালে জনগণ রাজপথে নেমে জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার প্রতারণা ও চুরির আশ্রয় নিয়েছে।’ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘গত ১১ বছরে ভাড়াভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির একমাত্র কারণ এটি। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে যখন জনজীবন চরম দুর্বিষহ, তখন বিদ্যুতের দাম বাড়লে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে। এই খাতে লোকসানের মূল কারণ সিস্টেম লস এবং সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতি। কিন্তু সরকার তা দূর না করে ক্রমাগত দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ ও চালসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। এখন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা জনগণ রুখে দাঁড়াবে। সরকার বলেছিল, কুইক রেন্টাল স্বল্পমেয়াদে কার্যকর থাকবে। আর এই সময়ে সরকার বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করবে, পরে সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু ২০১৩ সালের কথা বলে এখন তা ২০১৯ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কুইক রেন্টাল চলবে। অর্থাৎ কতিপয় লুটেরা গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ নিয়ে লুটপাটের দায় জনগণকে দশকের পর দশক ধরে বয়ে বেড়াতে হবে।’ তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।