মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি না হওয়া লজ্জাজনক: ইসলামী আন্দোলন

222গত ৪৮ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ, ক্রটিমুক্ত ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি না হওয়া খুবই লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ। বিজয় দিবসে বিকালে রাজধানীর পল্টনে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে ‘বিজয়ের সুফল অর্জনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কী আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তারা। আর আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলে এদেশে শান্তি আসবে না। অবিলম্বে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরিসহ তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের দাম দিয়ে বহুমূল্যে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। তবে যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, গত ৪৮ বছরে আমরা তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, আজ সে আত্মজিজ্ঞাসার দিন।
স্বাধীনতার পর সমাজে সাম্যের পরিবর্তে ধনী-গরিবের পাহাড়সম বৈষম্য বেড়েছে মন্তব্য করেন তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি আর্থিক বৈষম্য বিরাজ করছে। শাসকগোষ্ঠী একের পর এক নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদাকে পদদলিত করেছে। বারবার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জনগণের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ নাগরিক অধিকারসমূহ কেড়ে নিচ্ছে। একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এ শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ঢাকা নগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, আব্দুর রহমান, হানিফ মিয়া, আলতাফুর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।