‘ভারত সরকারের সঙ্গে আ. লীগ সরকারের অম্লমধুর বিরহ চলছে’

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবীর রিজভী আহমেদআনন্দবাজারসহ ভারতীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দিল্লির শীতল সম্পর্ক এবং টানাপোড়েন চলছে। এমন খবর ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। সম্ভবত কোনও কারণে ভারত সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের অম্লমধুর বিরহ পর্ব চলছে। এতে করে প্রতিবেশীর আস্থাভাজন এই সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে।’

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মুরব্বিদের তুষ্ট করে শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে আবোল-তাবোল প্রলাপ বকা শুরু করেছে সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা। নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) জটিলতায় সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন ঘোষণার জেরে গোটা ভারত যখন বিক্ষোভে উত্তাল তখন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ন্যাক্কারজনকভাবে সমর্থন দিচ্ছে।’

রিজভী বলেন, মিয়ানমার যেমন রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে, একইভাবে নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি জটিলতায় সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন ঘোষণা করে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার এনআরসি বিষয়টিকে বারবার ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু আখ্যায়িত করে এড়িয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রধানের সরাসরি হস্তক্ষেপে পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মনগড়া স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার জামিন বন্ধ করে দেওয়ার পর আশঙ্কা করছি তার প্রাণনাশের ভয়ঙ্কর কোনও নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম ও  ডা. মামুনকে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হয় না। অবিলম্বে তার ব্যক্তিগত এই দুই চিকিৎসকে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল খান জয়কে সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে আবদুল্লাহপুর থেকে সাদা পোশাকধারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তাকে জনসম্মুখে হাজির করার দাবি জানাচ্ছি।