কারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সংগঠন থেকে বহিষ্কার বা আদর্শচ্যুত হয়েছেন এবং বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জীবিত সাবেক সব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত প্রায় সকলেই পুনর্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৯৬৮-৬৯ মেয়াদ ও তার পরবর্তী কমিটির নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৬৮-১৯৬৯ মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মাদ আলী উপস্থিত ছিলেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। তিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্যও দেন। উপস্থিত ছিলেন ১৯৬৯-১৯৭০ মেয়াদের সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রব উপস্থিত ছিলেন না অনুষ্ঠানে।
জাসদের (রব) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বর্তমানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা উপস্থিত ছিলেন। তবে একই মেয়াদের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী ছিলেন না অনুষ্ঠানে। ১৯৭২-১৯৭৩ মেয়াদের সভাপতি ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম এবং ১৯৭৭-১৯৮১ মেয়াদের সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তার মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এছাড়া ১৯৮১-১৯৮৩ মেয়াদের ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ১৯৮৩-১৯৮৫ মেয়াদের সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৯৮৬-১৯৮৮ মেয়াদের সভাপতি ও বর্তমানে গণফোরামের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ ও একই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান এমপি, ১৯৮৮-১৯৯২ মেয়াদের সভাপতি শাহে আলম ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ১৯৯২-১৯৯৪ মেয়াদের সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহিম, ১৯৯৪-১৯৯৮ মেয়াদের সভাপতি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খাঁ পান্না, ১৯৯৮-২০০২ মেয়াদের সভাপতি বাহাদুর বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, ২০০২-২০০৬ মেয়াদের সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ২০০৬-২০১১ মেয়াদের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ২০১১-২০১৫ মেয়াদের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং ২০১৫-১৮ মেয়াদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগের সর্বশেষ ১২টি কমিটির মধ্যে বর্তমান মেয়াদে সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং ২০১১-২০১৫ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ছাড়া সকলেই উপস্থিত ছিলেন এই পুনর্মিলনীতে। তাদের মধ্যে শোভন ও রাব্বানীকে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাদের মধ্যে নাজমুল প্রবাসে রয়েছেন।