পূজার দিনে ভোটের আয়োজন অন্যায়: ড. কামাল

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠককোনও ধর্মীয় উৎসবের সময় নির্বাচন আয়োজন করা মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সরকারের অন্যায় কাজ। এমন ঘটনা অতীতে কোনোদিন হয়নি। ঈদ ও পূজার দিন যদি নির্বাচন হয়, তা সরকারের গাফিলতি এবং ব্যর্থতা।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে মতিঝিল নিজ চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচিতে সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে আমরা তাদের পক্ষে আছি।

দুই সিটিতে চার পথসভা

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতে ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষে চারটি নির্বাচনি পথসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আমরা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুটি করে মোট চারটি পথসভা করবো।

এ সময় সিটি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে সরকারের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের নির্বাচনি জনসংযোগে বাধা ও হামলার ঘটনা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনও সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে বলে মন্তব্য করে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, কারণ এর মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রে তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই মালিকানা নিশ্চিত সম্ভব না।


কন্যাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেওয়া অসহায়ত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ

ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেওয়া অভাব-অসহায়ত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন ড. কামাল। তিনি বলেন, শেয়ার বাজারকে নানা কারসাজির মাধ্যমে ধবংস করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশের অর্থনীতি এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায় গেছে যে, একজন বাবা মাত্র ৬০০০ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের জন্য তুলে দিয়েছেন পাওনাদারের হাতে। সরকার যখন উন্নয়নের ঢোল পেটাচ্ছে, তখন মানুষের অভাব এবং অসহায়ত্ব কোন পর্যায়ে গেছে, এ ঘটনা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির আসম আবদুর রব, বিএনপির আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।