আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, পুরো ব্যাংক ব্যবস্থা চলছে ট্রাস্ট এবং কনফিডেন্সের ভিত্তিতে। এটা নষ্ট হয়ে গেলে পুরো অর্থনীতি একটা গভীর মন্দার মধ্যে পড়ে যাবে। এর ফলে ঋণ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কেউ ইনভেস্ট করবে না। তবে এটা ঠিক ঋণখেলাপিদের আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত করতে পারি। একটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত, আরেকটা অনিচ্ছাকৃত। ইচ্ছাকৃতরাই বিরাট ও শীর্ষ খেলাপি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মসূচি ঘোষণা করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের এই সমস্যা জাতীয় সমস্যা। বাংলাদেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন আছে, কিন্তু বাস্তবতা নেই। দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষক যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে কীভাবে দুর্নীতি রোধ হবে? আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন তারা যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেজন্যই আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরা জমায়েত হবো এবং মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করতে যাবো।’
আলোচনা সভায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।