‘বিদেশি অতিথিরা আসতে অপারগ, তাই করোনা সামনে’

প্রেস ক্লাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরআগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিরা আসতে অপারগতা প্রকাশ করছেন এবং এ কারণেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন জনের নাম সরকার সামনে নিয়ে এসেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে এতোদিন কোনও কিছুই বলে নাই। তারা এই ভাইরাস খুঁজেও পায়নি। কী কারণে পায়নি জানি না। মনে হলো হঠাৎ করে কাল খুঁজে পেয়েছে। এটা কি এমন যে, যখন বিদেশি অতিথিরা আসতে অপারগতা প্রকাশ করছেন, তখনি এই তিনজনের নাম আসলো?’

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা গ্রন্থ ‘প্রগতি ও সত্যের সন্ধানে’ ও ‘মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খণ্ডচিত্র’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দি ইউনিভার্সাল একাডেমি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, তবে আমার ধারণা সরকার পুরোপুরি জিনিসটাকে গোপন করার চেষ্টা করেছে। এই ভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগেই এসেছে বলে অনেকেরই ধারণা। সেই ধারণাগুলো এখন সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হতে শুরু করেছে।’

‘করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেক কিছু পত্র-পত্রিকায় আসছে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে আছি। সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন হয়েছে, তা পত্রিকায় আসছে। অনেকে এক দেশ থেকে আরেক দেশের ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। মানুষ আসাও বন্ধ করে দিচ্ছে। আগেও বলেছি, এই ভাইরাস নিয়ে আমাদের সরকারের যেসব যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে যেসব এয়ারপোর্ট, নৌবন্দর, স্থলবন্দর আছে সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ স্ক্রিনিং ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে বাইরে থেকে লোক আসলে সেটা ধরা যায়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে এবং চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার।’

৪০০ টাকা বেতনের একজন মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশ স্বাধীন হয়নি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে ‘অশালীন ও অশোভন কথাবার্তা’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেখুন কী ধরনের অশালীন ও অশোভন কথাবার্তা! যখন একজন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০০ টাকার মেজরের বাঁশির ফুঁতে স্বাধীনতা আসেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্যি, মেজরের বাঁশির ফুঁতেই মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তখন আপনারা পলায়ন করছিলেন, কেউ আত্মসমর্পণ করছিলেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক খন্দকার মুসতাহিদুর রহমান প্রমুখ।