মুজিববর্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে দলীয় কর্মসূচি পালন করবে আ. লীগ

আওয়ামী লীগ

মুজিববর্ষে জাতীয় উদযাপন কমিটিরও অনুষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে দলীয় কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের নিজস্ব কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে আবার জাতীয় উদযাপন কমিটিরও অনুষ্ঠান রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করবো। জেলাগুলো থেকে প্রবীণতম আওয়ামী লীগের নেতাদের ঢাকা এনে তাদের দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

সোমবার (১৬ মার্চ) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চলবে বছরজুড়ে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত, ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’-এমন ঘোষণাকে দলীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমাদের পার্টিকে আরও স্মার্টার, আধুনিক এবং সুশৃঙ্খল করে গড়ে তুলবো।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অনন্য মাইলফলক-স্পর্শকারী ও অভাবনীয় ঘটনা।  যতদিন বাংলাদেশের পতাকা রয়েছে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই-শেখ হাসিনার মৃত্যু নেই। বঙ্গবন্ধু অমর হয়ে থাকবেন স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে আর শেখ হাসিনা অমর হবেন, জনগণের মুক্তি সংগ্রামের আপসহীন নেত্রী হিসেবে। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা, বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রত্যয় ও প্রত্যাশার বিশ্বস্ত ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। মুজিববর্ষের এ দিনটিতে বিশ্বজুড়ে বাঙালি জাতির কাছে এক নবজাগরণের বারতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু যেন ফিরে এসেছেন তার প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশে।