‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ কার্যকরের দাবি বিএনপির

রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ছবি)করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ দাবি জানান।

রিজভী বলেন, এক ভিডিও বার্তায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তারেক রহমান অবিলম্বে দেশে ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টি কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি। ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কাজকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা এবং বিশেষ বোনাস দেওয়ারও দাবি করছি।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিক্যাল সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহের দাবি জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে করোনা টেস্ট কিট সরবরাহ করতে হবে। এছাড়া প্রবীণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রিজভী বলেন, আজ এমন এক সময়ে কথা বলছি, যখন বিশ্ববাসী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বিশ্ব এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে। মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে। প্রতি মুহূর্তে নতুন আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। লকডাউন, আইসোলেশন, সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে সম্পূর্ণরূপে থমকে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। প্রতিটি দেশ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে পরিত্রাণ পেতে অন্য দেশ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। ভয়ঙ্কর এক কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি আমরাসহ বিশ্ববাসী।

তিনি আরও বলেন, সরকারি হিসাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত আর পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়েছে। কেভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট, চিকিৎসকদের পিপিই কিংবা হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ’র প্রচণ্ড অভাব এদেশে। সারাদেশের হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার স্যাম্পল আসছে অথচ টেস্ট করতে পারছে মাত্র ৭০-৮০ টি। এই অপ্রস্তুত দৃশ্যপটের মধ্যে সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি ধেয়ে আসছে। গোটা দেশবাসী শঙ্কিত-আতঙ্কিত। এই অবস্থার দ্রুত অবসান জরুরি।