বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকর করার জন্য গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করলেও এই খাতের লাখো শ্রমিকের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীবাহী বাস এখন পুরোপুরি বন্ধ, জরুরি মালামাল পরিবহনের জন্য ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যান স্বল্প মাত্রায় চললেও বেশিরভাগই বন্ধ। এই অবস্থায় এই খাতের শ্রমিকদের কোনও আয় করার সুযোগ নেই, কারণ তারা দিন চুক্তিতে কাজ করেন। ফলে তারা তীব্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে আবার মালিকরা গাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য হেলপারদের নিযুক্ত করেছেন। ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে গাড়িতেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন; যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এবং খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় তারা তীব্র খাদ্যকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, পরিবহন মালিকরা তাদের মুনাফার জন্য সবসময় টার্গেট দিয়ে ও বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের অমানবিক মাত্রায় খাঁটিয়ে নেন। আজ যখন সারাদেশে করোনার কারণে সংকট চলছে, তখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি, ওই শ্রমিকদের দিয়েই মালিকরা তাদের গাড়ি পাহারা দেওয়ার কাজ করাচ্ছেন।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, গাড়ি পাহারায় থাকা শ্রমিকদের প্রতিদিন তিনবেলা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিন, সব পরিবহন মালিকদের এ ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করুন। প্রত্যেক শ্রমিককে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।