ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার কোন বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে যে সভার বরাত দিয়ে সরকারকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় তাতে কোনও বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অর্থনীতিকে সচল করার যে যুক্তি আনা হচ্ছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে সক্ষম ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, লন্ডনের ‘দি ইকনমিস্ট’ পত্রিকা সেরকমই দাবি করেছে। সরকার ও অর্থমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আগামী বছরের জন্য বর্তমান বছরের চাইতেও বড় বাজেট করতে চলেছেন। বিশ্বে এমন পরিস্থিতি নয় যে, পোশাকশিল্প তার বাজার হারাবে।
‘পলিটব্যুরো মনে করে, ঈদের এক বছরের ব্যবসার জন্য শপিংমলগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে না। বরং যেটা প্রয়োজন তা হলো ছোট ব্যবসা, শিল্প, কৃষি, খামার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে যে প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ ঘোষণা করেছেন তাকে এই দিকে বিস্তৃত করা যুক্তিযুক্ত হবে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়েও ঈদ উদযাপন করেছে। এবারও যে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই তা মুক্তিযুদ্ধের ওই চেতনা দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণ নিম্নগামী না হওয়া পর্যন্ত ‘লকডাউন’সহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাকে কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।