কার মতামতের ভিত্তিতে দোকানপাট খুলে দেওয়া হলো, জানতে চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

ওয়ার্কার্স পার্টিকরোনাভাইরাসের কারণে দেশে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন কার মতামতের ভিত্তিতে দোকানপাট খুলে দেওয়া হলো, তা জানতে চেয়েছে ক্ষমতাসীনদের অন্যতম মিত্র রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

শুক্রবার (৮ মে) বিকালে দলটির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘কোন বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে লকডাউনকে ক্রমান্বয়ে শিথিল করে শপিং মল, দোকানপাট খোলার মধ্য দিয়ে প্রায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, তা দেশবাসীকে জানাতে হবে। কারণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন— ‘এভাবে সবকিছু খুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়বে।’ তিনি আরও  বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ শোনা হবে।’ তাহলে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া কেন? বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটিকেও স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন কিনা।’’

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের অর্থনীতি সচল করার প্রয়োজনীয়তা সবাই বোঝে। কিন্তু যদি গার্মেন্টস মালিক, দোকান মালিকদের স্বার্থকে প্রধান করে দেখা হয়, তখন সেটা গ্রহণযোগ্য হয় না। এখানেও রাস্তার দোকানদাররা তাদের দোকান বসাতে পারবে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনীতি সচল করার তাগাদার পরও  তার রোষ উপেক্ষা করে বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ডা. ফাউসী সবকিছু খুলে না দেওয়ার পক্ষে তার মতে অটল রয়েছেন। ব্রাজিলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট বারসোলনার সবকিছু সচল রাখার মতমতকে বিরোধিতা করে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন।’ বাংলাদেশেও সরকারকে বিশেষজ্ঞদের বলতে হবে— করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন ঊর্ধমুখী, তখন এ সব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কিনা।’

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনমনে আশঙ্কা তরি হয়েছে। এসব বিষয় স্পষ্ট করলেই জনগণের মধ্যে আস্থা ও স্বস্তি আসবে। করোনা পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যাবে।’