অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞের আগেই জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠনের আহ্বান রবের

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)করোনাভাইরাসের কারণে অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ হওয়ার আগেই কার্যকর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। তাই জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার। শনিবার (৬ জুন) দুপুরে দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল মোবারক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব মন্তব্য করেন।

আ স ম আবদুর রব ও ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘দেশে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃতের সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। কোভিড-১৯ রোগটির বিস্তার রোধ করতে না পারলে জাতিকে অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে হবে। এসব আশঙ্কা ও উদ্বেগের কথা জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এখনই সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। সংস্কার কাজে হাত দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করে এই রাজনৈতিক দল। আ স ম আবদুর রব ও ছানোয়ার হোসেন তালুকদারের কথায়, ‘সমস্ত জাতি অতি দুঃখের সঙ্গে ও চরম মূল্যের বিনিময়ে আজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা আর করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করছে। কার্যকর একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধীর আকাঙ্ক্ষায় জাতি উন্মুখ হয়ে আছে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিতে হবে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির মন্তব্য, জনমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা শুধু চিকিৎসক বা কারও একক উদ্যোগের বিষয় নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নীতি, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কার্যকর সংস্কারের লক্ষ্যে সমগ্র জাতিকে এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন দলের নেতারা। তাই তাদের পরামর্শ, জাতির সব অংশীজনকে অন্তর্ভুক্ত করে অংশীদারিত্বমূলক পরিষদ অর্থাৎ ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠন করতে হবে।
বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে কার্যকর জাতীয় ঐক্যও গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যা আজ পর্যন্ত দলীয় আত্মম্ভরিতার কারণে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।’
দলটি মনে করে, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলের কাজ হবে একটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন। জনগণের চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এর একটি প্রধান লক্ষ্য। নেতাদের দাবি, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আসন্ন বাজেট থেকেই অর্থায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।’