‌‘ঋণনির্ভর এই বাজেটে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে’

খেলাফত মজলিশপ্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে অন্তঃসারশূন্য বলে আখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস। দলটির আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক এবং মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, 'বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর এই বাজেটে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।' বৃহস্পতিবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেটে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। আর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা; যা অর্জন অসম্ভব।'

দলটির দুই শীর্ষ নেতা বলেন, 'বাজেটে সুদ প্রদানে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। বিশেষ করে, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে নিয়ে নিলে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, জনগণের ওপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।'

এতে বলা হয়, 'বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ট্যাক্স-ভ্যাটের অর্থ চলে যায় দুর্নীতিবাজদের হাতে। স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান বিপর্যস্ত অবস্থা দেশে চলমান সীমাহীন দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ। প্রস্তাবিত এ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রেখে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।'

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, '২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২ শতাংশ; যা কোনোভাবেই অর্জন করা সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই ধারণা দিয়েছে, নতুন ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র এক শতাংশ। এ রকম কল্পনাবিলাসী বাজেটে দেশের অর্থনীতি সামনে এগোবে না। দেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট বেকারত্ব তো আছেই। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। করের আওতা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের ওপর নতুনভাবে করারোপ করা হচ্ছে। বাজেটে এ বছর তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি বাজেটেই সরকার সাধারণ জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।'