শুক্রবার (১৯ জুন ) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত মানববন্ধনে মান্না এসব কথা বলেন। ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে’ এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
মাহমুদুর রহমান মান্নার অভিযোগ, দেশে সরকারি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স নেই, হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই, ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন সাপোর্ট নেই—মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তার কাছে জনগণের কল্যাণের জন্য কোনও কিছু আশা করাও ঠিক না। তারপরও আমরা বলেছি, এই মহামারির মধ্যে আমরা কোনও রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন। কার্যকর লকডাউন দিন এবং অসহায় মানুষদের খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান করেন।’
আর করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এসব উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান দলটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
মান্না বলেন, ‘আজকে আমরা আমাদের দাবি উত্থাপন করলাম। যদি আপনাদের বোধোদয় না হয়, আজকে এখানে ২০০ জন দাঁড়িয়েছি, কাল ২০০০ জন দাঁড়াবো। সেদিন দেশের মানুষের অধিকার আদায় না করে ফিরবো না।’
পোশাক শিল্পের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয় উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। কেবল সরকারের তোষামোদকারী গার্মেন্ট মালিকরা প্রণোদনার অর্থ পেয়েছেন। আর কোনও গার্মেন্টস মালিক পাননি। শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না, ঈদে বোনাস দেওয়া হয়নি। সামনে আরেকটি ঈদ আসছে। প্রস্তুত হোন। এই শ্রমিকরা যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামবেন, সেদিন পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সার, জিন্নুর চৌধুরী দিপু, আনিসুর রহমান খসরু, কবীর হাসান, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব ফরিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম।