সংসদের বৈঠক থেকে বিএনপির হারুনের ওয়াক আউট

সংসদে এই বক্তব্য দেওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদসংসদের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। সংসদে বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তিনি ওয়াক আউট করেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা জন্য ১২ মিনিট সময় দেওয়া হয়। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হারুনুর রশিদ চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা না করে মানুষ বাঁচানোর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

সংসদে তারেক রহমানের প্রসঙ্গ ওঠায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ করে হইচই করেন। এরই মধ্যে হারুনুর রশিদের নির্ধারিত ১২ মিনিট শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি না বসে বক্তব্য অব্যাহত রাখেন এবং সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন করেন। ডেপুটি স্পিকার সময় সময় বাড়াননি। এর প্রতিবাদ করে হারুনুর রশিদ সংসদ কক্ষ ত্যাগ করতে উদ্যত হলে ডেপুটি স্পিকার তাকে অনুরোধ করে বসতে এবং তার কথা শুনতে বলেন।

এর পর হারুন চেয়ারে বসলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আপনি জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন, এটি সুন্দর প্রস্তাব। কিন্তু আপনি এমন দুজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন যাদের কথা আমি সংসদের এই চেয়ারে বসে উচ্চারণ করতে চাই না। একটি নির্বাচিত সরকার কোনও কনভিক্টেড ব্যক্তির সঙ্গে ঐক্য করতে পারে না। এ সময় ডেপুটি স্পিকার বিএনপির এই এমপি কিছু অসংসদীয় কথা তার বক্তব্যে বলেছেন উল্লেখ করে তা বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেন। স্পিকারের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পরামর্শে বিএনপির এমপি হারুনকে বাজেটের ওপর আর এক মিনিট বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময় হারুন ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আপনি সময় বাড়িয়ে দেননি। মাননীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলার পর আপনি এক মিনিট সময় বাড়িয়েছেন। আমি আর বক্তব্য দেবো না। আপনি আমার বক্তব্য ইন্টারাপ্ট করেছেন। এর প্রতিবাদে আমি সংসদ থেকে ওয়াক আউট করছি।’ এর সঙ্গে সঙ্গেই হারুন কক্ষ ত্যাগ করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য ওয়াকআউট করে চলে যাওয়ার পরপরই ডেপুটি স্পিকার হাউসকে উদ্দেশ করে বলেন, তার (হারুনের) প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। সংসদে কোনও সদস্য অসংসদীয় বক্তব্য দিলে আমি অবশ্যই তা ইন্টারাপ্ট করবো। এটা সরকারি দলের কেউ দিলেও করবো, বিরোধী দলের কেউ দিলেও করবো।’