বিদ্যুৎ নিয়ে জনগণকে হয়রানি করা চলে না: নূর হোসাইন কাসেমী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামজমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রাহক পর্যায়ে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগে এ বিষয়ে অভিযোগ করে কোনও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ নিয়ে জনগণকে বহুমুখী হয়রানি চলতে পারে না। শনিবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জমিয়তের মহাসচিব বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকদের তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে পরিশোধের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে যে পরিমাণ বিল আসে, গত এপ্রিল ও মে মাসে তার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বিল করেছে শহুরে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। আর গ্রামে প্রতিমাসে যে বিল আসে, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ২০০ টাকা যোগ করে বিল দেওয়া হয়েছে। অনেক গ্রাহককে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি ভুতুড়ে বিল দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগে ভুতুড়ে বিল নিয়ে বার বার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া বিল না দিলে জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্নের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তার মানে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখতে হলে গ্রাহককে সব অনিয়ম ও ভুতুড়ে বিল মেনে নিয়েই পরিশোধ করতে হবে।’

নূর হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগে আরও বিভিন্ন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও লুটপাট চলছে। একদিকে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস থাকা সত্ত্বেও নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেমে নেই। অন্যদিকে রাজধানী ও কয়েকটা মহানগরী বাদে জেলা ও গ্রামীণ পর্যায়ে সমানে লোডশেডিং চলছে। অলস বিদুৎ কেন্দ্রের ভাড়া বাবদ শত শত কোটি টাকার ব্যয় যোগাতে বার বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই জনগণ কী পরিমাণ হয়রানি ও জুলুমের শিকার হচ্ছে, ভাবাই যায় না। বিদ্যুৎ খাতের চরম অনিয়ম, বার বার মূল্য বৃদ্ধি, বিল পরিশোধে কথা দিয়ে কথা না রাখা ও ভুতুড়ে বিল নিয়ে প্রচুর লেখালেখি, প্রতিবাদ ও অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এসবের কোন প্রতিকার বা সরকারি কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।