খাগড়াছড়িতে ফারুক খুন, ছাত্রদলের প্রতিবাদ

ছাত্রদল

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে দুর্বৃত্তরা মারাত্মক জখম করে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির দুই শীর্ষনেতা। শনিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টায় উপজেলার কালাডেবা বাজার থেকে বৈরাগী টিলা নিজ বাড়িতে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার (১২ জুলাই) মধ্যরাতে সংগঠনের দফতর বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এসব কথা জানান।

ছাত্রদলের বিবৃতিতে জানানো হয়, 'শনিবার রাতে মো. ফারুককে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২.৩০ মিনিটে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।'

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বেআইনি গুম, ক্রসফায়ার ও বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। তার ওপর তাদের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবও চলছে সমান তালে।'

সংগঠনটির দুই নেতার দাবি, 'সন্ত্রাসবাদ আর আওয়ামী লীগ যেন সমার্থক নামে পরিণত হয়েছে।'

তারা বলেন, 'একের পর এক হত্যাকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর কথা। তখন হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসররা যেভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অথবা যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানে হত্যা করেছে, একই কায়দায় সরকারের প্রশ্রয়ে তাদের সন্ত্রাসীরা অন্যায়ভাবে ছাত্রদলের মেধাবী নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো ফারুক হত্যাকাণ্ড তারই একটি উদাহরণ মাত্র।'

ছাত্রদলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়,'‘স্বাধীনতার বহু বছর পর যেমন সেই হত্যার বিচার হচ্ছে, তেমনিভাবে বর্তমানে ঘটা প্রতিটি নির্মম হত্যাকাণ্ডেরও বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।'

নির্মমভাবে নিহত মো ফারুকের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।