সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করোনা প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এইচ-ড্যাব) এর উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় এই মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘রিজেন্টের সাহেদের ও জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনার কেলেঙ্কারি- এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আজ যখন চারিদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে কই রুই-কাতলা তো ধরা পড়ে না, তখন গতকাল নামেমাত্র সাবরিনা ধরা পড়লেন।’
‘আওয়ামী লীগ সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে চলছে’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেই সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে তাদের মধ্যে মানবতার কোনও কাজ নেই, তাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কোনও কাজ নেই। জনগণের পকেট থেকে টাকা দিয়ে যে ত্রাণ কেনা হয়েছে সেই ত্রাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসা, গ্যারেজ থেকে, না হলে পুকুর থেকে, না হলে মাটির তলা থেকে পাওয়া গেছে। এভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর মেশিন ভ্যান্টিলেটর, সেই ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন। পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম চারিদিকে ছি ছি পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন কোনও নেতা নাই যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নাই। ছবি তুলেছেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফর অনুমোদন দিয়েছে তাদের করোনা টেস্ট করার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদফরের ডিজি যখন অনুমোদন দেয় সেটা তো সরকারেরই অনুমোদন।’
রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য তিনি। তারপরে বললেন কী? সে নাকি হওয়া ভবনের লোক। যখন ফাঁস হয়ে যায়, যখন মুখ দেখানোর কিছু থাকে না, তখন বিএনপি অথবা হাওয়া ভবনের বলে চাপিয়ে দেয় তারা।’
সংগঠনের সভাপতি শফিকুল আলম নাদিমের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব একেএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক জোটের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা, মুজিব উল্লাহ, মুজিব, গাজী নাজিমউদ্দিন, কাশেমুর রহমান খান, আশরাফ হিলালী, শাহ মোয়াজ্জেম সোহেল, ফয়সাল মেহবুব মিজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।